রেসিপি পাঠিয়েছেন - সুস্মিতা চন্দ ( ৫০, গৃহবধু )

উপকরণ :-

১। লোটে মাছ – ১ কেজি

২। পেঁয়াজ কুচি – ৬/৭

৩। রসুন বাটা

৪। লঙ্কা বাটা (কাঁচা/শুকনো)

৫। টমেটো কুচি /টমেটো পিউরি

৬। নুন

৭। হলুদ

৮। সর্ষের তেল

প্রনালী :- মাথা বাদ দিয়ে লোটে মাছগুলো কে পিস পিস করে কেটে নিয়ে ভালো করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে শুধু হলুদ মেখে রাখতে হবে। নুন মাখা একদমই চলবে না। নাহলে মাছ থেকে জল ছাড়বে। কড়াই তে আন্দাজ মতো সর্ষের তেল দিতে হবে। তেল একটু বেশি পরিমাণে দিলে ভালো হয়, কেননা রান্নাটা পুরো তেলেই হবে। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু লালচে হয়ে এলে তাতে রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে যখন রসুনের কাঁচা গন্ধ কমে আসলে লঙ্কা বাটা, টমেটো, নুন, হলুদ দিতে হবে।

মাছে নুন দেওয়া নেই। তাই মাছের কথা মাথায় রেখে একটু বেশি পরিমাণে নুন দিতে হবে যাতে মাছে স্বাদ আসে। এবার কড়াই এর ঐ মশলা ঢাকা দিয়ে দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। মশলা থেকে তেল ছেড়ে গেলে, রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে, হলুদ মাখানো মাছের টুকরো গুলোকে পাত্র থেকে ভালো করে চিপে চিপে জল ফেলে কড়াই তে দিতে হবে। মাছ কড়াই তে দেবার সাথে সাথে খুন্তি দিয়ে মশলা আর মাছ ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। এখানেই রয়েছে আসল রান্নার কায়দা। মাছের নুন ও তখনই ঠিক মতো একবারে দিয়ে নেড়েচেড়ে মাখিয়ে নিতে হবে। পুরো মাখামাখি টা ২/৩ সেকেন্ডে সেরে ফেলতে হবে। তারপর আর মাছ নাড়া যাবে না। প্রথম দিকে আঁচ একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। মাছের জল বেড়িয়ে যাবে কড়াইতেই। তারপর জল টানতে থাকবে। জল খানিকটা টেনে এলে আঁচ একদম কমিয়ে দিতে হবে। মাছ ধীরে ধীরে হতে থাকবে। মাঝে মাঝে খুন্তি দিয়ে তলাটা একটু চেচে দিতে হবে যাতে, কড়াই তে মাছ না লেগে যায়। মাছে খুন্তি লাগলেই মাছ ভেঙে যাবে আর জল বেরিয়ে যাবে। তাই মাছকে না নাড়িয়ে আসতে আসতে জল মারিয়ে শুকনো করতে হবে, অথচ মাছ গুলি গোটা গোটা থাকবে। একদম মাছের গা মাখামাখা হয়ে এলে, রসা রসা থাকতে আঁচ বন্ধ করে দিতে হবে। মাছ কড়াই তে দেবার পর থেকে আর কড়াই ঢাকা দেওয়া চলবে না।

শীতকাল হলে নামানোর আগে ধনেপাতা কুঁচি ওপর থেকে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। গরম ভাতে লোটে মাছের এই রসা অমৃতের মতো লাগবে। 

আপনার রান্নার রেসিপি আমাদের কাছে পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

ফোন নম্বর:- 98043 26238

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.