অন্ধকূপে ১৬ দিন আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক।সুড়ঙ্গে ঢুকছে জল। তার সাথে সকাল থেকে আবহাওয়া প্রতিকূল উত্তর কাশিতে। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে ,আজ সোমবার হালকা বৃষ্টি ও আগামী কাল ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে।পড়তে পারে বরফ। সেক্ষেত্রে উদ্ধারকার্য অসুবিধার মুখে পড়বে।
ইতিমধ্যেই অগার মেশিনের ভাঙা অংশগুলো সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে বের করা হয়েছে। আপাতত সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্বভাবে মাটি কেটে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, ১৬দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪১জন শ্রমিক। জানা গিয়েছে, ৬ জন বিশেষজ্ঞ পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারায়। ৮০০ মিলিমিটারের সরু পাইপের মধ্যে ঢুকে পড়ে ধ্বংসাবশেষ সাফ করা হবে। সেই সঙ্গে র্যাট হোল মাইনিং প্রযুক্তিও ব্যবহার করবেন উদ্ধারকারীরা। ছোট ছোট সুড়ঙ্গ কেটে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পোঁছনোর চেষ্টা হবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শ্রমিকদের বের করে আনা যাবে বলে আশাবাদী উদ্ধারকারীরা।
তবে উদ্ধারকাজের গতি পুরোটাই নির্ভর করছে সুড়ঙ্গের মাটির উপরে। মাইক্রো টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার বলেন, “দ্রুত মাটি কাটার চেষ্টা চলছে। ঠিক কতখানি সময় লাগবে তা এখনই জানা যায়নি। সেনার তত্ত্বাবধানে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা নিয়ে আমরা আশাবাদী।” ইতিমধ্যেই সিল্কিয়ারায় গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং।
বিদেশি অগার মেশিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায়, এখন খোলা রয়েছে ভরসার দুই পথ। গতকাল বারকোট ও সিল্কিয়ারার মাঝে পাহাড়ের ওপর থেকে শুরু হয়েছে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং। এখনও পর্যন্ত ২৮ মিটারের বেশি অংশে গর্ত খোঁড়া সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া, পাহাড়ের ওপর থেকে কেটে আরও একটি লাইফ লাইন দ্রুত চালু করা হচ্ছে। লম্বালম্বি ভাবে পাহাড় কেটে তৈরি করা ৮৬ মিটার রাস্তাও শেষ হওয়ার মুখে। এই পথেও ওষুধ ও অন্য়ান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পাঠানো হবে। অন্যদিকে, টানেল থেকে অগার মেশিনের ভাঙা যন্ত্রাংশ বের করে আনার কাজ শেষ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে মানুষ দিয়ে পাথর কাটার কাজ
কবে উদ্ধারকাজ শেষ হবে? কবে সুড়ঙ্গ থেকে বেরতে পারবেন শ্রমিকরা? সঠিকভাবে সেই নিয়ে কিছু বলছেন না উদ্ধারকারীরা। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কোনও বাধা না পেলে বৃহস্পতিবারই ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে উদ্ধার করা যাবে শ্রমিকদের। ইতিমধ্যেই ৬ রকমভাবে উদ্ধারকাজ চালানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র ও উত্তরাখণ্ড সরকার। দ্রুত গতিতে কাজ করছে ড্রিলিং মেশিনও। শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে ৮৬ মিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০ মিটার ড্রিল হয়ে গিয়েছে বলেই খবর।
Leave a Reply