হিংসায়   ২০১৮র পঞ্চায়েত ভোটকে ছাপিয়ে গেল ২০২৩

undefinedundefined

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে লাগামহীন সন্ত্রাস বাংলা জুড়ে । কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, রেজিনগর, রানিনগর, ডোমকল থেকে শুরু করে কোচবিহারের দিনহাটা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, বাসন্তী উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ প্রান্তে নজিরবিহীন হিংসাত্মক পরিস্থিতি। দিকে-দিকে খুন, বোমাবাজি, গুলিতে অশান্ত বাংলা। শুধু ভোটের সকাল থেকেই মৃত্যু মিছিল বঙ্গে। শাসক, বিরোধী দলের কর্মী থেকে শুরু করে ভোট-যুদ্ধের বলি হয়েছেন সাধারণ ভোটারও।

দিনভর অশান্তির শেষে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির ব্যাপারে জোরালো দাবি তুলল গেরুয়া শিবির। ‘গণ অভ্যুত্থান’। ‘চলো কালীঘাট… গুলি করুক’-এর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কেন আদালত অবমাননা নয় তা জানতে চেয়ে বিএসএফের আইডি-কে চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

বদলের ডাক ছিল। কিন্তু বদলালো তো নাই, উল্টে বহুক্ষেত্রে ২০২৩য়ের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা কার্যত ছাপিয়ে গেল ২০১৮ সালকে। এবার মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেইহিংসার ঘটনা ঘটতে থাকে। হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু, ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সবটা ভোটের দিনও বাংলায় এসে পৌঁছয়নি। বুথে বুথে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ফল যে-কে সেই। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় রক্তাক্ত হল বাংলা। বোমা, গুলি, সন্ত্রাস, সরকারি কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটল। গোটা রাজ্যে ভোট উৎসবের দিনই প্রাণ গেল শাসক-বিরোধী মিলিয়ে মোট ১৪ জনের। শুরু থেকে ধরলে এ সংখ্যা ৩৪ জন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.