প্রায় ১১ ঘন্টার ম্যারথন জেরা শেষে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতর ছাড়লেন যুব তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। আমি সেগুলো জমা দিয়েছি। আশা করছি, ওঁনারা সন্তুষ্ট। ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আমি এখানে প্রায় ১১ ঘণ্টা ছিলাম আজকে। আবার ডাকলে আবার আসব। আমাকে ওঁনারা আবার ডাকবেন বলে জানিয়েছেন। সারা দিন থাকতে বললে থাকব।’
ধোঁয়াশা কাটিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও-তে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এদিন ইডি দফতরে প্রবেশের মুখে সায়নী বলেছিলেন, ‘আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’
জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে সামান্য বিরতি ছিল, তবে সায়নীকে বাইরে দেখা যায়নি। দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সায়নীর অনেক প্রশ্নের জবাবেই তদন্তকারীরা সন্তুষ্ট হননি বলে খবর। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁর জন্য বাইরে থেকে খাবার পৌঁছয় ইডি দপ্তরে। তাতে জল্পনা উসকে ওঠে, তবে কি সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলবে? সেসব জল্পনা উড়িয়ে রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান সায়নী ঘোষ। জানান, পরবর্তী সময়ে তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাক পাঠালে আবার আসবেন এবং দরকারে ২৪ ঘণ্টা থেকে সহযোগিতা করবেন। আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সায়নীকে তলব করা হতে পারে।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডির নজরে রয়েছেন সায়নী ঘোষ। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে ধৃত তথা তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরেই সামনে আসে সায়নী ঘোষের নাম। কুন্তলের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করার সময় সায়নীর নাম উঠে আসে। সেই বিষয়েই যুব তৃণমূলের সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
ফের ৫ই জুলাই সায়নীকে ডেকেছে ইডি বলে সূত্রের খবর।
Leave a Reply