গুরুতর অসুস্থ বিশিষ্ট পরিচালক তরুণ মজুমদার। ৯২ বছর বয়সী কিংবদন্তী এই পরিচালক ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএমে। গত ১৪ জুন তরুণ মজুমদারকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মেন ব্লকের সিসিইউ-তে। এদিন নবান্নে যাওয়ার পথে, এসএসকেএমে গিয়ে চিকিৎসকদের কাছে প্রবীণ পরিচালকের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তরুণ মজুমদারের শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগজনক। এসএসকেএমে তাঁকে সর্বক্ষণ কড়া নজরদারিতে রেখেছেন চিকিৎসকরা। সিসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান এই পরিচালক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর চেতনা শক্তি ক্রমশই কমে যাচ্ছে। তরুণ মজুমদারের শরীরে ক্রিয়েটিনের মাত্রাও বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বার্ধক্য ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান পরিচালক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পরিচালকের চিকিৎসায় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। দলে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল, নেফ্রোলজিস্ট অর্পিতা চৌধুরী, সিসিইউ বিশেষজ্ঞ অসীম কুণ্ড।

বাংলা ছবির জগতের অন্যতম জনপ্রিয় ও কিংবদন্তি পরিচালক তিনি। একের পর এক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আলো’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, কুহেলী, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তাঁর ছবির সামাজিক বন্ধন ও সহজ ভাষার সাবলীলতা মন কেড়েছে আট থেকে আশির। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। ‘১৯৬২’-তে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান এই পরিচালক।
বয়স বেশি থাকার কারণে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.