সোমবার সকালে নারদ মামলায় বিনা নোটিসেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং তৃণমূল-ত্যাগী কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের তরফে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৪ জনের গ্রেপ্তারি। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ধর্ণা দেন নিজাম প্যালেসের অন্দরে।তার কিছুক্ষনের মধ্যে নিজাম প্যালেস এসে পৌঁছান শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দুপুর গড়াতেই বান্ধবী বৈশাখী পৌঁছে গিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসে। তাঁর মন্তব্য- “শোভনের পাশে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী এসে দাঁড়ালেন, ওনার জন্য আমি আজ থেকে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।” তাঁর মন্তব্য এদিন শুধুই মমতা-ময়। বৈশাখী বললেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন যে, উনি ক্যাপ্টেন। তিনি যে সবার মুখ্যমন্ত্রী সেটা আবারও একবার প্রমাণ করলেন।’ এখানেই শেষ নয় যে ববি হাকিমকে কদিন আগেই বিঁধেছিলেন সেই ববি হেকিম প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন আজ করোনা পরিস্থিতিতে যিনি সবথেকে বেশি দায়িত্বপ্রাপ্ত, সেই ফিরহাদ হাকিমকে সকাল থেকে বিনা কারণে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ যে ক’টা প্রাণ যাবে পরিষেবা না পাওয়ার ফলে, প্রত্যেকটা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে বিজেপি।”
পাশাপাশি মোদী সরকারকে বিঁধতেও ছাড়েননি বৈশাখী। তাঁর মন্তব্য, “করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর মোদী সরকার। গণতন্ত্রের চরম অপমান করল বিজেপি। গত লোকসভার সময় গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন বটে! তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিকিট না পেয়ে বিজেপি ত্যাগ করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। এরপর থেকেই জুটির তৃণমূলে যোগদানের খবর ছড়িয়ে পড়ে। জল্পনা শুরু তাহলে কি শোভন বৈশাখীর তৃণমূলে যোগদান শুধুই কি সময়ের অপেক্ষা ?
Leave a Reply