একুশের ভোটে নেতৃত্বদানে সাফল্যের পুরস্কার পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হল অভিষেককে। ফলে জাতীয়স্তরে গুরুত্ব বাড়ল তাঁর। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে দলের যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সংগঠনে এদিন ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। অভিষেকের জায়গায় এবার যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে আনা হল সায়নী ঘোষকে। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার ভোটে লড়াই করেছিলেন সায়নী। তবে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন। যদিও অভিনেত্রীর লড়াইয়ের প্রশংসা করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ভোটের ফলের এক মাসের কিছু পরেই সায়নীকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল।
[ অবশ্যই পড়ুন – করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের জন্য কতটা ভয়ানক, তার সাবধানতাই বা কি। দেখে নিন… ]
মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। কৃষক সংগঠনের প্রধান করা হল প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে। ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়কে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হল কুণাল ঘোষকে। সূত্রের খবর, আট জেলায় দলীয় সভাপতি বদল করা হয়েছে। ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ্ব রাখার কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কথায় কথায় লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না বলে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ অবশ্যই পড়ুন – অবসর গ্রহণের পর আমলাদের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে লাগবে ভিজিল্যান্সের ছাড়পত্র, নির্দেশিকা প্রকাশ কেন্দ্রের ]
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্যে অভিষেক অন্যতম কাণ্ডারী বলে মনে করে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এমনকী, নির্বাচনী প্রচারে অভিষেককে নিশানা করেছেন মোদী-শাহরাও। একুশের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেককে যে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply