পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দায়ের করা মামলার শুনানি

নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে। এই অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়ের করেছেন ইলেকশন পিটিশন। গণনায় কারচুপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগে করেছেন তিনি। নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন তার শুনানি পিছোল। নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি আজ হল না কলকাতা হাই কোর্টে । আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি। তবে আজ মামলাটি গৃহীত হয়েছে।

একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সন্ধের পর হাই কোর্টে তিনি নিজেই মামলাটি দায়ের করেন। তা বিশেষ মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে শুক্রবার দিনের শুরুতেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন মামলাটি গ্রহণের পর শুনানি স্থগিত করে দিয়েছেন বিচারপতি।

আইনি মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এই মামলাটি যেহেতু নির্বাচন সংক্রান্ত, তাই মামলাকারীকে শুনানির সময়ে উপস্থিত থাকতে হয়। না থাকতে পারলে আদালতকে তার কারণ জানাতে হয়। এই পদ্ধতির জন্য বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বলে খবর। আজ মামলাটি নিয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী এস এন মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি নন্দীগ্রামের গোটা নির্বাচনী পদ্ধতিকে বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানান।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম কেন্দ্র। তার অন্যতম কারণ, একদা ছায়াসঙ্গী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সময়ে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়ে দেয়, শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ১২০০ ভোটের ব্যবধানে। কিন্তু, তার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর, হেরে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী, ১৭৩৬ ভোটের ব্যবধানে। পরেই মামলা দায়ের করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.