করোনা-বিধি মেনে সোমবার ২৩ অগাস্ট থেকে দর্শনার্থীদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খুলে গেল। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে ফের বন্ধ হয়ে গিয়ছিল পুরীর মন্দির৷ তবে সম্প্রতি ওড়িশার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ সেই আলোচনার পরেই ওড়িশার ধর্মীয় স্থানগুলি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন৷ প্রথম দফায় মন্দিরের সেবায়েত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ১২ই আগস্ট মন্দির খোলা হয় ,এরপর ১৬ থেকে ২০ আগস্ট পুরীর বাসিন্দাদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মেলে। এরপর আজ ২৩ আগস্ট সাধারণ ভক্তদের জন্য মন্দিএর দরজা উন্মুক্ত হলো।
প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। সপ্তাহের শেষে মন্দির জীবাণুমুক্ত করার জন্য মন্দির বন্ধ থাকবে। এছাড়া সামনে ৩০শে অগাস্ট জন্মাষ্টমী এবং ১০ই সেপ্টেম্বর গনেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে মন্দির বন্ধ থাকবে।ভিড় এড়াতে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

মন্দিরের সাড়ে ৩ হাজারের বেশি সেবায়েত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের টিকাকরণ হয়েছে৷ করোনার সংক্রমণ এড়াতে শুধু সেবায়েতরাই নন, মন্দিরের সর্বোচ্চ কর্তারাও যাতে প্রতিটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেব্যাপারে তৎপরতা নেওয়া হচ্ছ৷ দর্শনার্থীদেরও করোনা বিধি মেনে মন্দিরে ঢুকতে হবে৷
মন্দিরে প্রবেশের জন্য জোড়া ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।যদি কারোর ১ টি ভ্যাকসিন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ৯৬ ঘন্টার মধ্যে RT-PCR টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। মুখে মাস্ক ছাড়া কারও মন্দিরে ঢোকার অনুমতি নেই৷ দূরত্ব বিধি মেনে মন্দিরে ঢুকতে হবে দর্শনার্থীদের৷ মন্দিরের ভিতরে ফুল,ধুপ ,প্রদীপ নিয়ে প্রবেশ ও তার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।তামাক ,গুটখা মুখে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা হবে।
অন্যদিকে আনন্দবাজার মহাপ্রসাদ এলাকায় কোনো প্লাস্টিক নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। শিশু,প্রবীণ নাগরিক ,অসুস্থ মানুষকে মন্দিরে না আসবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

হিন্দুদের চারটি প্রধান ধর্মীয় স্থানের মধ্যে একটি হল পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির৷ চার মাস পর সোমবার সারা দেশ থেকে আসা ভক্তদের জন্য পুরীর মন্দিরের দরজা খুলে যাওয়ায় যথেষ্ট খুশি ভক্তরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.