নারদ মামলা গেল বৃহত্তর বেঞ্চে :আপাতত গৃহবন্দী ৪ হেভিওয়েট

৪ হেভিওয়েটের নারদকাণ্ডে জামিনের মামলা এবার যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে। তবে জেল হেফাজত থেকে রেহাই পেলেন নারদ কাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েট। তবে আপাতত তাঁদের থাকতে হবে গৃহবন্দি। চার নেতার অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।শুক্রবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে সেখানে দুই বিচারপতির মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়। অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন মঞ্জুর করলেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। জানা যাচ্ছে, জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও আপাতত গৃহবন্দিই থাকতে হবে চার হেভিওয়েটকে।

নিয়ম অনুযায়ী, দুই বিচারপতি যেহেতু সহমত হননি সেই কারণেই পরবর্তী বেঞ্চ তৈরি করতে হবে। সেখানে এই মামলা পাঠানো হবে, ততদিন পর্যন্ত গৃহবন্দিই থাকতে হবে ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভনকে। যদিও গৃহবন্দি থাকাকালীন চিকিৎসায় যাবতীয় সাহায্য করা হবে। একইভাবে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে হেভিওয়েটদের।

নিজেদের মধ্যে আলোচনায় জন্য ১০ মিনিট সময় চেয়েছিলেন হেভিওয়েটদের আইনজীবী। এরপর, ফের শুনানি-পর্ব পুনরায় শুর হয়। সেখানে অন্তর্বর্তী জামিনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন হেভিওয়েটদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বিশেষ করে ফিরহাদ হাকিমের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।

আদালতে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘পুরসভায় না যেতে পারলে ফিরহাদ হাকিম কী করে লড়বেন? কোভিডের বিরুদ্ধে কী করে লড়বেন ফিরহাদ হাকিম? পুরসভায় না গেলে কী করে হবে লড়াই? ফিরহাদ সই করতে না পারলে কী করে হবে লড়াই?’

এই যুক্তি দেখিয়ে সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, ‘গৃহবন্দি নয়, অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হোক।’ অন্যদিকে, মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি চাইলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে শনি-রবিবার শুনানির আর্জি করেন কল্যাণ। সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, ‘যত দ্রুত, সম্ভব হলে আজকেই নতুন বেঞ্চ গঠন হোক।’

আদালতে আবেদন হেভিওয়েটদের আইনজীবীরা সওয়া করেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের জরুরি কাজ করতে দেওয়া হোক।’ এরপর হাইকোর্ট তাদের এদিনের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.