পরিচিত রাসবিহারী কেন্দ্রের বদলে তিনি আবার লড়েছিলেন এবং জয়লাভ করেছিলেন ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে। কিন্তু মাত্র এক মাস না কাটতেই তিনি পদত্যাগ করলেন তার সদ্য জেতা সেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে। তিনি কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।শুক্রবারই তিনি বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে তিনি নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকে লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিধায়ক হিসাবে এবং মন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের মাসখানেকও হয়নি। তার মধ্যে তাঁর এই পদত্যাগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন বিধানসভার স্পিকার শোভনদেবের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। তার পর তিনি বলেন, “আমি শোভনদেব বাবুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি কোনও চাপে না পড়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন কি না। তাঁর কথায় আশ্বস্ত হয়েছি। এবং তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।”

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নন্দীগ্রাম আসনে হেরে গিয়েছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে ছমাসের মধ্যে একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। ভবানীপুর তাঁর ঘরের কেন্দ্র। নির্বাচনী প্রচারেও তিনি বলেছিলেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম ছোট বোন। তাঁর নির্বাচনী বুথও ভবানীপুরেই পড়ে।

অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি,মিতভাষী ,বিনয়ী শোভনদেব চট্টোপাধ্যের ইস্তফা ঘিরে উঠছে অনেক প্রশ্ন।বার শোভনদেব বাবু কোন আসন থেকে জিতে বিধানসভায় যাবেন। না কি বিধান পরিষদে যাবেন বর্ষীয়াণ এই নেতা সেটাও স্পষ্ট নয়। এও শোনা যাচ্ছে, রাজ্যসভায় তাঁকে পাঠানো হতে পারে। তবে সবটাই জল্পনা স্তরে রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.