বাড়ি ফিরলেন ববি হাকিম :সোমবার বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি

বাড়ি ফিরলেন ববি হাকিম। তবে জামিন নয় ,জেলমুক্ত।বর্তমানে তাকে গৃহবন্দী হয়েই থাকতে হবে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে হাসপাতালে স্থিতিশীল । তবে এদের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম প্রেসিডেন্সি জেলেই ছিলেন। তাই তিনি আজই জেল থেকে বাড়ি ফিরলেন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তিনি সরাসরি পুলিশের গাড়িতে চেতলার বাড়িতে আসেন। এলাকায় আগে থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল।বাড়ির সামনে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তার বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী,জামাতা ইয়াসির হায়দার ,নাতনি আয়াত হাকিম হায়দার ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য। পুলিশের জিপ থাকে নেমে ফিরহাদ হাকিম সকলকে নমস্কার জানিয়ে সরাসরি বাড়ির মধ্যে চলে যান।
তবে আদালতের নির্দেশে ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি বসে ভার্চুয়ালি কাজ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। এই প্রসঙ্গে তাঁর কন্যা বলেছেন, “কলকাতায় করোনা চলছে। তার পর একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই অবস্থায় বাবাকে বাড়ি বসে কাজ করার কথা বলা মানে তাঁর হাতে পেন্সিল দিয়ে পেন্সিলের শীষ ভেঙে দেওয়া।আমার বাবা কমকতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান।” এদিকে প্রিয়দর্শিনী জানান আইনি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চালানোর জন্য তাঁরা আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে।
বাকি তিন জন হেভিওয়েট শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে সিরোসিস অফ লিভার হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে চিকিৎসাধীন, চলছে নেবুলাইজার। মদন মিত্র রক্তে শর্করাজনিত সমস্যা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। এই তিন জনই রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে । তাই এদের হাসপাতাল থেকে আজ বাড়ি ফেরার সম্ভাবনা চিকিৎসকদের ওপর নির্ভর করছে।

শুক্রবার নারদ মামলার শুনানিতে চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবং গৃহবন্দি অবস্থায় বেশ কিছু নিয়ম মানার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একনজরে দেখে নিন কী কী নিয়ম মানতে হবে চার নেতা-মন্ত্রীকে-

সব কাজই করতে হবে অনলাইনে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
আলোচনা করতে হবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
চারজনের সঙ্গে কোনও সরকারি আধিকারিক দেখা করতে পারবেন না।
সমস্ত ভিডিও কলের বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত রাখতে হবে।
প্রশাসনিক কাজ ছাড়া অন্য কাজে ভিডিও কল করা যাবে না।
কোনও বিশেষ দরকারে কেউ দেখা করতে এলে, কতক্ষণ দেখা করছেন, কী কারণে আসছেন, সেটি বিস্তারিতভাবে নথিবদ্ধ থাকবে।
বাড়ির প্রবেশ পথে সিসিটিভি থাকতে হবে। না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে।
কে আসছেন, যাচ্ছেন, সমস্ত নজরদারিতে রাখতে হবে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা নজর রাখবেন।
পাশাপাশি, নারদ মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত এই বৃহত্তর বেঞ্চ আগামী সোমবার সকালে সবকটি মামলার শুনানি করবেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.