Mamta Banerjee-Image Bengal
নেতাজী ইন্ডোরে আজকে পুলিস ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে, পুজো নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত রাত্রে পুজো দেখার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলির কাছ থেকে এবার দমকল কোনও ফি নেবে না বলেও জানান তিনি। কর্পোরেশন, পঞ্চায়েত কোনও কর নেবে না। বিদ্যুতেও ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। ৮১ হাজার হকারকে পুজোর সময়ে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানা গেছে-
১. খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে। চারপাশ যাতে খোলা থাকে।
২. শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মণ্ডপ তৈরিতে এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
৩. গোল গোল দাগ করে ঠাকুরের লাইনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। হাফ কিলোমিটার আগে থেকে ক্লাবগুলিকে হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ মাস্ক না পরে এলে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গরীব মানুষদের দরকারে মাস্ক দেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। মণ্ডপে ঢোকার আগেও স্যানিটাইজ করতে হবে।
৫. একটু বেশি সংখ্যায় ভলান্টিয়ার দিতে হবে। তাঁদের ফেস শিল্ড পড়ে থাকতে হবে।
৬. গাদাগাদি করে নয়, দূরে দূরে থেকে অঞ্জলি। দরকার হলে আলাদা আলাদা সময়ে।
৭. দু তিন রকম সময়ে সিঁদুর খেলা হোক। গ্রুপে গ্রুপে ভাগ করে সিঁদুর খেলার ব্যবস্থা। একটু বড় জায়গায় এই ব্যবস্থা রাখলে ভাল।
৮. পুজোর সময় এবার কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়।
৯. পুজোর পুরস্কার দেওয়ার সময়ে কড়াকড়ি। ভার্চুয়ালি প্রাইজ দেওয়া হোক। সেরকম হলে, দুটোর বেশি গাড়ির কনভয় নয়। সকাল ১০টা থেকে ৩টে পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়ার সময়।
১০. কোনও ভাবেই ভিড় হতে দেওয়া যাবে না।
১১. প্রত্যেক ক্লাবে জনগনকে সচেতন করতে মাইকিং করতে হবে। পুলিসকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেরা প্রোটেকশন নেবেন, অন্যদের দেবেন।
১২. বিসর্জনের সময় অল্প লোক। মিছিল নয়। আলাদা আলাদা দিন ভাগ করে বিসর্জন। একসঙ্গে নয়।
১৩. পুজোর সময় অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
১৪. আগামী ২ তারিখ থেকে অনলাইনে পুজোর পারমিশন নেওয়া যাবে।
১৫. দশ বছরের ওপর যে সব পুজো কমিটি, তাদের সরকারি পারমিশন দেওয়া হবে।
১৬. এবার পুজো কার্নিভাল হচ্ছে না। পরের বছর ডবল জাঁকজমকে কার্নিভাল।
১৭. পুজো উদ্বোধন ছোট করে অথবা ভার্চুয়ালি।
এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা কর্মীদের ১ হাজার টাকা করে মাইনে বাড়ল। গ্রিন পুলিস, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাইনে বাড়ল ১ হাজার টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিশেষ পেনশন প্রকল্প। পুরোহিতদের হাজার টাকা ভাতা ও বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা সমস্ত ধর্মগুরুদের জন্যই পাকা বাড়ি তৈরিতে আর্থিক সাহায্য।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.