এরই নাম রাজনীতি। দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ নন, বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিণ্ডে হলেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন একনাথ শিণ্ডে । উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস । এদিন বিকেলে রাজভবনে সরকার গড়ার আবেদন জানান শিণ্ডে-ফড়ণবিস। এরপরই রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিণ্ডের নাম ঘোষণা করেন ফড়ণবিস। তবে তিনি নিজে মন্ত্রিসভায় থাকতে চাননি। পরে বিজেপি নেতৃত্বের আরজি মেনে সিদ্ধান্ত বদলান।

এর আগে শিণ্ডেকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফড়ণবিশ। মনে করা হচ্ছিল, উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপি সরকার গড়ার দাবি জানাবে রাজ্যপালের কাছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত হয়, শিণ্ডেই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শিণ্ডে শিবিরকে সমর্থন করবে বিজেপি।

এরপরই শপথ নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের রাজভবনে পৌঁছে যান শিণ্ডে। ফড়ণবিশ আগেই জানিয়েছিলেন, প্রথমে শপথ নেবেন শিণ্ডে। পরে, গঠিত হবে নয়া মন্ত্রিসভা। তবে, ফড়ণবিশ জানিয়েছিলেন তিনি সরকারের বাইরে থাকবেন। কিন্তু, জেপি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ জানিয়ে দেন, ফড়ণবিশ এই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদ না-পাওয়ার গোঁসা দূর হয় ফড়ণবিশের। তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে রাজি হন।

বৃহস্পতিবার একসঙ্গে রাজভবনে আসেন ফড়ণবিশ এবং শিণ্ডে। দেখা করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে। তার পরই সিদ্ধান্ত হয় মহারাষ্ট্রে সরকার গড়বে শিবসেনার শিণ্ডে শিবির। এবং সেই শিবিরকে সমর্থন করবে বিজেপি। বিধানসভায় এখন একক বৃহত্তম দল বিজেপি। ১০৬ জন বিধায়ক এবং শিণ্ডে শিবিরে রয়েছে ৩৭ জন। ম্যাজিক ফিগার ১৪৪ পেতে আর সমস্যা নেই। শিণ্ডের মুখে হাসি ফুটিয়ে নির্দল এবং ছোটদলগুলির বিধায়করাও সমর্থন জানাচ্ছেন। ফড়ণবিশ এই নতুন সরকার গঠনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সফল হয়েছেন. সেই কথা মাথায় রেখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা জানিয়ে দেন, দল ফড়ণবিশকে সরকারের সদস্য হিসাবে দেখতে চায়। তাই তাঁকে শিণ্ডের ডেপুটি হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিন ফড়ণবিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘২০১৯ সালে এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি আটকাতে গিয়ে জনমতকে অপমান করেছিল শিবসেনা। তার পর মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের আমলে বেলাগাম দুর্নীতি, দুই মন্ত্রীর বেআইনি লেনদেন ও তোলাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া, মন্ত্রীর দাউদের সঙ্গে যোগ এগুলো মানুষ মেনে নেয়নি।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.