একেই কি বলে অস্তিত্বের সংকট। নিজেদের অস্তিত্বের সংকটে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিল বামেরা। কিন্তু ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত ‘শূন্যে’ নেমে গিয়েছে বামফ্রন্ট। এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় একটিও বিধায়ক নেই বামেদের। শরিক দল কংগ্রেসও শূন্য। একমাত্র শিবরাত্রির সলতে হিসেবে বিধানসভা জায়গা পেয়েছেন ISF-এর নওশাদ সিদ্দিকি। কোণঠাসা হয়ে যাওয়া এই সময় কি তাহলে আসল ‘শত্রু’ চিনতে পারলেন বামেরা? বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে BJP-র ‘বি-টিম’ বলে উল্লেখ করা বামেরাই এখন তাঁদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে। তৃণমূল এবং BJP-র মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বোঝাতে ‘বিজেমূল’ স্লোগানও তোলেন তাঁরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা CPIM সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য নির্মল জানার স্মরণসভায় রবিবার যোগদান করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিমান বসু বলেন, ‘সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ থেকে কোহিমা পর্যন্ত কোনও আন্দোলন সংগ্রামের প্রশ্ন দেখা দিলে, BJP বিরোধী যে কোনও শক্তির সঙ্গে আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।’ একইসঙ্গে তৃণমূলের নাম না নিলেও তিনি বলেন, ‘BJP ছাড়া অন্য যে কোনও পার্টির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।’ এ ক্ষেত্রেই স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রতি যাবতীয় ছুঁৎমার্গ ঝেড়ে ফেলতে প্রস্তুত বাম শিবির।
সম্প্রতি CPIM রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের (Surjya Kanta Mishra) গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। তিনি জানিয়েছিলেন সর্বভারতীয় স্তরে BJP বিরোধী বৃহত্তর জোটে তৃণমূলকে সমর্থন করতে তাঁদের আপত্তি নেই। স্বভাবতই বিষয় টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দিল্লি রওনা দিয়েছেন সেই আবহে সব মিলিয়ে ২০২৪-এর আগে দিল্লির রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নানা সমীকরণের ইঙ্গিত উঠে আসছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.