দিলীপ-শুভেন্দু বিতর্কের মধ্যেই শহরে আসছেন  অমিত শাহ

শুক্রবার বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার অমিত শাহ যাবেন নবান্নে। নবান্ন সভাগৃহের সরকারি বৈঠকে থাকবেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শাহ-মমতা একান্তে কোনও বৈঠক শনিবার হয় কিনা সেটাই দেখার । বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন রাতে কলকাতায় পৌঁছেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন অমিত শাহ।

পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য সফর। এই পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহ, ভাইস চেয়ারপার্সন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হবে, দেশের পূর্বপ্রান্তের পাঁচ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড ও সিকিমের মুখ্যন্ত্রীদর সঙ্গে। শনিবার সকাল ১১টা থেকে নবান্ন সভাঘরে বৈঠক হওয়ার কথা, মধ্যভোজের পরও বৈঠক চলতে পারে। জানা গিয়েছে, ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বৈঠকে থাকবেন। তবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের থাকার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে বিহারের প্রতিনিধিত্ব করবেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। মূলত এই পাঁচ রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা নিয়ে কথা হতে পারে বৈঠকে। হবে তার প্রয়োজনীয় সমাধান ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ৪ রাজ্যের সীমানা এবং সীমান্ত প্রসঙ্গেও কথা হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকেই সম্ভবত বিজেপির সদর দপ্তরে যাবেন, নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সারবেন। এরপর বাইপাসের ধারে এক পাঁচতারা হোটেলে রাত্রিবাস করবেন শাহ। শনিবার সকালেই তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে যাবেন নবান্নে। সেখানে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। দিনভর বৈঠকেই ব্যস্ত থাকবে অমিত শাহ। মধ্যাহ্নভোজের পরেও চলবে আলোচনা। সাধারণত পূর্বাঞ্চলের ৫ রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিমে ঘুরিয়েফিরিয়ে হয় এই বৈঠক। যে রাজ্যে বৈঠক হয়, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী থাকেন ভাইস চেয়ারম্যানের ভূমিকায়। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারেন এই বৈঠকে।
শনিবার সকালে হোটেল থেকে যাবেন নবান্নে। যোগ দেবেন পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেতে পারেন রাজারহাটের বিএসএফ ক্যাম্পে। সেখানে সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা সারতে পারেন। এরপর তিনি ওইদিন রাতেই দিল্লি ফিরে যাবেন।
শাহ-মমতা একান্তে বৈঠকের পাশাপাশি নজরে রয়েছে বিজেপির শার্ষ নেতা দলের বঙ্গ ব্রিগেডের নেতৃ্বকে কী বার্তা দেন। শুক্রবারই হুগলির ব্যান্ডেলে রাজ্য বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়েছে। এ রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক বি এল সন্তোষ সহ কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দিয়েছেন সেখানে। পঞ্চায়েতে রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। পাশাপাশি কোন্দলের বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ সুকান্ত-শুভেন্দুদের কী বার্তা দেন তা তাৎপর্যবাহী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.