শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখী জানান, শোভনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। দুই সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এমন অভিযোগও শোনা যায় বৈশাখীর গলায়। এদিন বৈশাখী জানান হাসপাতলে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। যার ফলে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শোভন বাবু।
ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বৈশাখী আরো বলেন- “যেখানে আদালত গৃহবন্দী করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে তাঁকে কেন বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না? কেন তাকে হাসপাতালে আটকে রাখা হচ্ছে? ফিরহাদ হাকিম মন্ত্রী বলে বাড়ি ফিরতে পারবেন, সাধারণ মানুষ হলে পারবেন না, এটা কেন হচ্ছে? ফিরতে হলে পর্ণশ্রীর বাড়িতে আসতে হবে, এসব বলা হচ্ছে। চাপ আসছে। কোথা থেকে চাপ আসছে জানি না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থা এসএসকেএম-এ।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বৈশাখী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে বলছি, এই জিনিস থামান। এতে শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে শোভনের। কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারপক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে। কারা করছে সব ছবি আছে’। উল্লেখ্য, এর আগেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন শোভন-বান্ধবী। ক’দিন আগেই বৈশাখী বলেছিলেন, ‘ওরা দু’জন মদন মিত্রের ঘরে যাওয়ার নাম করে জোর করে শোভন বাবুর কেবিনের সিকিওরিটি ভেঙে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন।’ তবে ওরা দুজন বলতে ঠিক কাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি বৈশাখী। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, ওরা দুজন বলতে বৈশাখী, রত্না ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে মেয়ের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। কারণ, বৈশাখীর অভিযোগের বেশ কিছুক্ষণ আগেই রত্না-শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ও মেয়েকে হাসপাতালে আসতে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। নারদ মামলার উত্তেজনার মাঝে আরও একবার পারিবারিক কোন্দল প্রকাশ্যে।
কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন বৈশাখী ও রত্না, দু’জনেই। শোভনবাবুর পুত্রকেও হাসপাতালে দেখা গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলেমেয়েকে হাসপাতালে যাতে ঢুকতে না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে এসএসকেএম-এর সুপারকে বুধবারই চিঠি দেন শোভনের আইনজীবী।
Leave a Reply