হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। তার মধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের নানা ব্যাখ্য়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই হাঁসখালিতে মৃতার বাড়িতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অন্যন্যা চক্রবর্তী। এইসবের মাঝেই এ দিন দুপুরে হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে টুইট করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন জগদীপ ধনকড়। প্রশ্ন তোলেন নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে। এরপরই চলতি হাওয়ার বিপথে গিয়ে রাজ্যপালকেই তোপ দাগেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

হাঁসখালি প্রসঙ্গ টেনে এ দিন টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন যে, ‘হাঁসখালিতে লজ্জাজনক ধর্ষণ ও নাবালিকা মৃত্যু নিয়ে ফৌজদারি তদন্তে দাগ লেগেছে। যাঁরা দায়িত্বে আছেন এবং সাংবিধানিক পদ অলঙ্কৃত করছেন, তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। এই বেআইনি মনোভাব স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তকে বিপথগামী করে। কারণ পুলিশও এই পথই অনুসরণ করে।’
মঙ্গলবার রাজ্যপাল প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু টুইট করে আর কাজ হবে না। কিছু করুন। এবার পদক্ষেপ করার সময় এসে গিয়েছে। রাজ্যপাল বারবার বলছেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত, রাজ্য সরকার সঠিকভাবে রাজ্য চালাতে পারছে না। এসব শুনে শুনে মানুষ ক্লান্ত। বাংলার মানুষ আর রাজ্যপালের বিবৃতি শুনতে চায় না। টুইট দেখতে চায় না। এবার পদক্ষেপ করুন।” শমীকের সাফ কথা,”রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষাকর্তা। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করাটা তাঁর কর্তব্য। তাই, হয় তিনি পদক্ষেপ করুন, নাহয় চুপ করুন।”
মঙ্গলবারও হাঁসখালি ইস্যুতে নতুন করে টুইট করে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, “সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরাই যখন বিচারকের ভূমিকায়, তখন হাঁসখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। এটা নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থী, কারণ পুলিশ এই বক্তব্যই অনুসরণ করবে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.