আফগানিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে তালিবানরা। নতুন আফগান সরকারের প্রধান হচ্ছেন মোল্লা বরাদর। বর্তমানে এই মোল্লা বরাদর তালিবানদের রাজনৈতিক দফতরের দায়িত্বে রয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ,, তালিবানদের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব ও শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইও নয়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকছেন।২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান আক্রমণের সময় শাসন ক্ষমতায় ছিল তালিবানরা। মোল্লা বরাদর সেই সময় ছিলেন আফগানিস্তানের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী। একসময় তালিবানদের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও আক্রমণের নীল নকশা তৈরি করতেন পাশতুন জাতির পোপালজাই উপজাতির বরাদর। এর আগে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মোল্লা বরাদরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর সব সম্মত্তি। ২০১০ সালে পাকিস্তানে থেকে গ্রেফতার করা হয় মোল্লা বরাদরকে। পরে তালিবানদের সঙ্গে আফগান সরকারের মধ্যে আলোচনা চালানোর আশ্বাসে ২০১৮ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।আফগানিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে তালিবানরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, নয়া আফগান সরকারের প্রধান হচ্ছেন মোল্লা বরাদর। বর্তমানে এই মোল্লা বরাদর তালিবানদের রাজনৈতিক দফতরের দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়াও, জানানো হয়েছে যে, তালিবানদের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের পুত্র মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব ও শের মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইও নয়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকছেন।
অন্যদিকে সরকার গঠনের দিন তালিবানকে উপেক্ষা করে নারী অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে আন্দোলনে মহিলা বাহিনী। রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে, ধ্বনি তুলে তালিবান শাসনে সমানাধিকারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, “শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত অধিকারের দাবিতে লড়ে যাব।”আফগানিস্তানের পশ্চিমদিকের শহর হেরাট শহরে মহিলাদের দাবি আদায়ের পথে মহিলারা।
এই শহরে তালিবান শাসনের পর গত ২০ বছরে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মেয়েরা স্কুল, কলেজে যেতেন। চাকরির জন্য বাড়ির বাইরে বেরতেন। দেশের বুকে আবারও তালিবানরাজের প্রতিষ্ঠার পর সেসব কার্যত অতীত। স্বংয়সম্পূর্ণ মহিলারা আপাতত তালিবান নির্দেশে ঘরবন্দি। যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মহিলারা। প্ল্যাকার্ডে লিখে, স্লোগান দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজের সর্বত্র সমান অধিকারের দাবি জানাচ্ছেন। নিন্দা করেছেন তালিবার শীর্শ নেতা মহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাইয়ের মন্তব্যের।
শুক্রবারই আফগানিস্তানে সরকার গঠন করতে পারে তালিবানরা। তার আগেই অধিকার আদায়ে তালিবান নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে মরিয়া সেদেশের মহিলারা। দাবি আদায়ে তালিবানদের দেখে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলে বলছেন তাঁরা। উল্টে হেরাট থেকেই আন্দোলনের তীব্রতা দেশের ৩৪টা প্রদেশে ছড়িয়ে দিতে চায় বিক্ষোভকারী নারীর দল।

অধিকার আন্দোলন কর্মী বাসিরার কথায়, “মহিলাদের ছাড়া সরকার ভালো করে চলতে পারে না। তালিবানদের এটা বোঝাতে হবে। সমাজের সর্বত্র নারীদের সমানাধিকার চাই। এটাই আন্দোলনের একমাত্র লক্ষ্য।” আন্দোলনের তীব্রতায় তালিবানরা তাঁদের দাবি আদায়ে বাধ্য হবেন বলে আশা বাসিরার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.