Yashwant Sinha-Image Bengal

তৃণমূল ভবনে গিয়ে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এদিন সকালে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েনের উপস্থিতি তিনি তৃণমূলের যোগ দিলেন। দলের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানান অপর এক প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে দল গ্রহণ প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যশবন্ত সিনহাজির কথা হয়েছে। যেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেছেন, জশবন্তজি আমাদের নৈতিক ও মানসিক সমর্থন দিয়েছেন।’

[ অবশ্যই পড়ুন – ভোটের মুখে সারদা কাণ্ডে মদন মিত্রকে তলব করল ইডি ]

তৃণমূলে যোগ দিয়ে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘দেশের এখন সব গণতান্ত্রিক স্বশাসিত সংস্থা দুর্বল হয়েছে। দেশের বিচারসভাগুলোর একই অবস্থা। ফলে সরকারের মর্জির বিরোধিতা করার কেউ নেই।’ স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। গণতন্ত্র এখন বিপদের মুখে। এমন অভিযোগ করেন তিনি।  তাঁর মন্তব্য, ‘দেশের কৃষকরা এখন উৎপীড়িত। কোথায় কী হচ্ছে! দেখার দরকার নেই, শুধু কীভাবে ভোটে জিতব, এটাই উপলক্ষ্য।’ তিনি দাবি করেন, ‘বিজেপির প্রাক্তন শরিকরা কেউ এখন নেই। সব ছেড়ে চলে গিয়েছে। কারণ এই বিজেপি সবাইকে পদানত করতে চায়।’

[ অবশ্যই পড়ুন – শেষ পর্যন্ত জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করল হাইকোর্ট ]

তিনি বলেন, ‘আগামী ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে জিতবে। আর কেন্দ্রকে বার্তা দেবে যে মোদী-শায়ের মর্জি দেশে আর চলবে না।‘ সেই প্রক্রিয়ার উদ্বোধন এই ভোট থেকেই হবে, যা আগামি দিনে ২০২৪ সালে কেন্দ্রে পরিবর্তন ঘটাবে। এদিন তৃণমূল ভবনে বসে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই ‘মোদী-শাহ’ পরিচালিত কেন্দ্র সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা কীভাবে দেশে ফিরেছে আমরা জানি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য সব বিষয়ে দেশের তথৈবচ অবস্থা।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.