২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিম বঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরন যেন বদলেই চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে বামেরা তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন আজকে সেই বাম নেতৃত্বরাই রাজ্যে বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে উৎসাহী। এই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এর পর বৃহস্পতিবার কোনও রকম রাখঢাক না করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র স্পষ্টভাষায় বললেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে সঙ্গে নিতে হবে। কিন্তু রাজ্যে দুই দলের লড়াই চলবে।
জাতীয় স্তরে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে সিপিএমের আপত্তি নেই এদিনে সূর্যকান্ত মিশ্রের গলাতে তা পরিষ্কার।

বৃহস্পতিবার কাকাবাবু মুজফ্ফর আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে সেমিনারে সূর্যকান্ত বলেছেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সবাইকে সঙ্গে নিতে হবে। সুতরাং তৃণমূলকেও নিতে হবে। সারা দেশে বিরোধীরা একজোট হতে পারলে ভাল হয়। রাজ্যের থেকে দিল্লির ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। দিল্লি থেকে ওদের হঠাতে পারলে আমাদের লড়াই এক ধাপ এগিয়ে যাবে। তারপর রাজ্যে দেখা যাবে।”
তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, “তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যে সমঝোতা নয়। আগের নীতিতেই রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই চলবে। তিনি বলেছেন, রাজ্যে যে ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন লড়েছি সেটা ঠিক আছে। এ রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়তে হবে। তা থেকে আগামিদিননে সরব না। যাঁরা বলছেন, তৃণমূলকে নিয়ে বিজেপির মোকাবিলা করা যাবে, তাঁরা বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একই সুরে বলেছিলেন বিমান। পূর্ব মেদিনীপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।‘ সেক্ষেত্রে কি তৃণমূলেরও হাত ধরবেন? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে। সেই প্রশ্নের জবাবে বিমান বসু ফের বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি ছাড়া যেকোনও দলের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। এরপর আর কিছু বলার আছে!’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.