করোনা অতিমারী থাবা বসিয়েছে সর্বত্র। করোনা আবহে সভ্য-সমর্থক, এমনকী সংবাদ মধ্যমেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ক্লাবতাঁবুতে। মোহনবাগান দিবস ঘিরে যা হবে, তার পুরোটাই হবে ভারচুয়ালি। এমনটা আগেই জানানো হয়েছিল। সেই মতোই এদিন অনুষ্ঠান হল। স্মরণে, বরণে শ্রদ্ধা জানানো হল প্রাক্তন গোলকিপারকে। স্মৃতিচারণে উঠে এলেন অন্য এক শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বছর মরণোত্তর ‘মোহনবাগান রত্ন’ সম্মানে ভূষিত করা হল।সেই শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে মরণোত্তর মোহনবাগান রত্ন দিল সবুজ-মেরুন ক্লাব। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর স্ত্রী মালা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরষ্কার নিতে এসে বলেন, ‘‘পিচ্ছিল ইডেনের মাঠে কসমসের বিরুদ্ধে ম্যাচে পেলের পা থেকে বল ধরে নিয়েছিলেন শিবাজি। তাঁর খেলা দেখে পেলে বলেছিলেন, তুমি কি পাগল? এভাবে খেললে চোট লেগে যাবে তো!’’ যদিও মোহনবাগান ক্লাব কর্তারা তাঁকে কেবলমাত্র ‘পেনাল্টি বাঁচানোর রাজা’ বলতে একেবারেই আগ্রহী নন। শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা গোলকিপার ছিলেন বলেই মনে করেন মোহনবাগান-কর্তারা। আজ, বৃহস্পতিবার ভারচুয়ালি অনুষ্ঠানে সেই কথাই বারবার উচ্চারিত হল। সত্তর দশকের শেষের দিকে এবং আশির দশকের প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন দুর্গ আগলাতেন শিবাজি। আজ, ২৯ জুলাই ‘মোহনবাগান রত্ন’ তুলে দেওয়া হল শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী মালা দেবীর হাতে।
ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘শিবাজিদা কত বড় গোলরক্ষক ছিলেন তা আমরা সবাই জানি। তবে উনি আরও বড় মাপের মানুষ ছিলেন।’’ বাবার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে শিবাজি পুত্র শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাবা বেঁচে থাকলে এই সম্মান নিতেন কি না জানি না। কারণ উনি কোনদিন নিজেকে কিংবদন্তি বলে মানেননি। তাঁর কাছে কিংবদন্তির সংজ্ঞা একেবারে আলাদা। তবে এই ক্লাব ওঁর কাছে ছিল পরিবারের মতো। পরিবারের থেকে এমন স্বীকৃতি পেতে ভালোই লাগে।’’
ক্লাব কর্তাদের আশা, করোনার প্রকোপ কেটে গেলে পরের বছর আবার আগের মতোই হবে মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান।
Leave a Reply