রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণার পরেই মস্কোর উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো শুরু করে দিয়েছিল আমেরিকা ও তার বন্ধুরাষ্ট্রগুলি। এ বার বিশ্বের উন্নত সাতটি দেশের গোষ্ঠী জি-৭ একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

আমেরিকা, কানাডা, জাপান, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইটালিকে নিয়ে গঠিত জি-৭-এর তরফে শুক্রবার এই ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, সময়ের সঙ্গে মস্কোর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে। গোষ্ঠীর তরফে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতির বদল না ঘটলে আমরা ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাব।’’

শুধু দেশ হিসেব রাশিয়া নয়, সে দেশের বৃহৎ উদ্যোগপতিদের জন্যও বাজার বন্ধ করার কথা জানিয়েছে জি-৭ দেশগুলি। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির উপরও জারি হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। এমনকি, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে রাশিয়াকে নির্বাসনে পাঠানোর বন্দোবস্ত হয়েছে আমেরিকা এবং পশ্চিমী দুনিয়ার উদ্যোগে।
ইউক্রেনে হামলার জেরে গোটা বিশ্বে রাশিয়া এখন কোণঠাসা। আর, তার প্রভাব পড়বে ভারতেও। মস্কো থেকে আর অস্ত্র কিনতে পারবে না নয়াদিল্লি। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহ-সচিব ডোনাল্ড লু।রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবগুলোয় ভোটাভুটি থেকে ভারত বারবার বিরত থাকছে। আর, এর প্রেক্ষিতেই ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগী দেশগুলো। এনিয়ে সরাসরি নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছে ওয়াশিংটন।
ভারত তার অবস্থান পরিষ্কার করে আগেই জানিয়ে দিয়েছে, শান্তি চাই। যুদ্ধ চাই না। যাবতীয় সমস্যা মেটানো হোক আলোচনার টেবিলে। সম্পূর্ণ কূটনৈতিক মাধ্যমেই সমাধান হোক সমস্যার। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় যে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত আরও কড়া অবস্থান নিক। ভারত বিষয়ক এই বৈঠকে ভারতীয় গণতন্ত্র, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, কাশ্মীর সমস্যা-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.